কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে ও তাদের দেয়া ৯ দফা দাবির পক্ষে একাত্মতা ঘোষণা করে রাজপথে নেমেছেন মামুনুর রশীদ, মোশাররফ করিম, আজমেরি হক বাঁধন, নুসরাত ইমরোজ তিশা, সাবিলা নুর, মিথিলা, সিয়াম আহমেদ, জাকিয়া বারী মম, রোবেনা রেজা জুঁই, নির্মাতা অমিতাভ রেজা, আশফাক নিপুণ, পিপলু খান, আকরাম খানসহ দৃশ্যম মাধ্যমের শিল্পীরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে নানা ব্যানার নিয়ে তারা আজ ফার্মগেটে সমবেত হন। গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক- এমন স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে সেখানকার চারপাশ। তাছাড়া বিভিন্ন গান গেয়েও নিজেদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ সময় সিয়াম আহমেদ বলেন, আমার পক্ষ থেকে আলাদা কিছু বলার নাই। সারা দেশের মানুষের যে দাবি সেটাই আমার দাবি। যখন এত মানুষ একটা দাবি নিয়ে এক হয় তখন একটু হলেও মাথায় আনা দরকার সেটা। আমাদের ভাই-বোনারা মারা যাচ্ছে। আপনি যদি সুস্থ সবল মানুষ হন তবে রাতে ঘুমাতে পারবেন না। আমার কানে এখনও মুগ্ধর ‘পানি লাগবে’ কানে বাজে। আমরা সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করি। দেশের মানুষের জন্য কাজ করি। ছাত্ররা আমাদের প্রধান দর্শক। তাদের পাশে যদি না থাকি তবে কাজ করার দরকার নেই। কেন কাজ করবো। আমার ছেলেও আজ থেকে ১৫ বছর পর বলবে তুমি তখন কি করেছ! কি জবাব দেব। তাই অবশ্যই আমি শিক্ষার্থীদের পক্ষে। যারা মারা গেছে আন্দোলন করতে গেয় তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো মানুষ শান্তি পাবে না। এটা আমার বিশ্বাস। আজমেরী হক বাঁধন বলেন, আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আসলে আমার যদি বিবেক থেকে থাকে তবে মানসিকভাবে সুস্থ থাকার কোনো কারণ দেখছি না। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, যেদিন থেকে গুলি চলেছে, সেদিন থেকেই আমরা সবাই মানসিকভাবে ভালো নেই। একটুও শান্তিতে নেই। আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্ম। যারা মারা গেছে তাদের হত্যার বিচার চাই। এসব শিক্ষার্থীদের মাঝে আমার সন্তান থাকতে পারতো।
যৌতুক মামলায় জামিন পেলেন উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌ’র স্বামী
যৌতুক নিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় এবার জামিন পেলেন মডেল-উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌ (কামরুন্নাহার মৌসুমী) এর স্বামী আরিফ বিল্লাহ হক। বুধবার (২৯ মে) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত-২১ এর বিচারক তাহমিনা হক এ আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান। বাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এন এম গোলাম জিলানী।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর আরিফ বিল্লাহ হকের সঙ্গে মডেল ও উপস্থাপিকা কামরুন্নাহার মৌসুমী ওরফে মৌসুমী মৌ পারাবিরাকিভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আরিফ একজন কোচিং শিক্ষক। কৌশলে তিনি তার স্ত্রী মৌ’য়ের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা আদায় করেছে। যা যৌতুকের টাকা হিসেবে দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলাতে যৌতুকের টাকার জন্য মৌকে মারধরের অভিযোগও করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, মামলার ধার্য তারিখ বুধবার (২৯ মে) আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আপোষের শর্তে আদালতের কাছে জামিন প্রার্থনা করেন। আরিফের আইনজীবীরা আদালতকে জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার স্বাভাবিক লেনদেনকে যৌতুক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। টাকাগুলো একপ্রকার ধার হিসেবে নেয়া হয়েছিল। মোট টাকার বড় একটি অংশ পরিশোধও করা হয়েছে। অন্যদিকে, একইদিন বাদী আদালতে উপস্থিত না থেকে সময় প্রার্থনার আবেদন দেন। শুনানি নিয়ে আদালত উভয়পক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী দিন ধার্যের আদেশ দেন।
ঈদে সুনায়রা শিনঝিরি’র স্বপ্ন যাবে বাড়ি
ঈদ আসলেই টিভি পর্দা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভেসে উঠে যেই সুর। সেই ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ বিজ্ঞাপনে এবার শিশু মডেল হিসেবে কাজ করলো সুনায়রা শিনঝিরি। ২০১৬ থেকে গ্রামীণফোনের হাত ধরে এই বিজ্ঞাপনের শুরুটা করেছিলেন জনপ্রিয় নির্মাতা শাহরিয়ার পলক। প্রতিবারের মত এবারের বিজ্ঞাপনটিও নির্মাণ করেন তিনি। ঈদ মানেই এই গান, যে গানের সুর করেছিলেন হাবিব ওয়াহিদ আর কণ্ঠ দিয়েছিলেন মিঠুন চাকরা। শিশু মডেল সুনায়রা শিনঝিরি’র এটি ২৫ তম বিজ্ঞাপন। এর আগে কাজ করেছে বসুন্ধরা টিস্যু, ইভালি , ফুডপান্ডা, নিডো, ওরিয়ন , রাঁধুনী, আরডি মিল্ক , বেজ ক্যাম্প, প্রাণ , গ্রামীণ ফোনের মত জনপ্রিয় পণ্যের টিভি বিজ্ঞাপনে। টিভি বিজ্ঞাপনে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে ড্রেক্সেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড টু’র শিক্ষার্থী সুনায়রা বলে, আমি বুঝিনি শুটিং করছি। সবার সাথে মজা করতে করতে কাজ শেষ হয়ে গেলো। ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ আমার ও আমার দর্শকদের এবারের ঈদ গিফট। নির্মাতা শাহরিয়ার পলক বলেন, ‘এবারের গল্পগুলো একটু ভিন্ন। অবশ্যই প্রতিবারের মতো প্রিয়জনের অপেক্ষা ও কাছে পাওয়ার এসেন্স নিয়ে তৈরি এবারের স্বপ্ন যাবে বাড়ি। কিন্তু চেষ্টা করেছি ভিন্ন লেন্সে গল্পগুলো বলার। আমার জন্য ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ একটি লিগ্যাসি প্রডাকশন। স্বপ্ন যাবে বাড়ি’র পেছনের গল্পটা বেশ দীর্ঘ। ঈদ উপলক্ষে ঢাকায় বসবাসকারীদের গ্রামে ফেরা ও তাদের ঘরের প্রতি আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখানো হয়েছে এই বিজ্ঞাপনে।