কিছুদিন আগেই ‘বিশ্ব মা দিবসে’ মা হওয়ার সুসংবাদ দিয়েছেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ খ্যাত ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি তিনি নিজেই শেয়ার করেছিলেন। এর কয়েকদিন পরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অসুস্থ হয়ে ফেসবুকে লিখেন, মা হওয়ার খবরটি শেয়ার করার পর আমি ভয়াবহ অসুস্থ হয়ে পড়ি। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে লিখেন, এমন কেন হয়? মানুষ অন্যের ভালো খবর শুনলে এমন কালো নজর দিয়ে ধ্বংস করে দিতে চায় কেন সব? এ সময় তিনি জানান, আর কোনো খবর প্রকাশ করবেন না তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর আগেও বলেছিলাম আর কোনো খবর শেয়ার করবো না। কিন্তু বেহায়ার মতো করে ফেলে আবার কান ধরলাম। জানা যায়, সন্তানের কথা ভেবে আপাতত অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। বেশ বিরক্তি প্রকাশ করে সম্প্রতি আরেক পোস্টে তিনি বলেন, যেহেতু আমি এখন কোনো কাজ করছি না, সেহেতু আমার ফোনটা বন্ধ করে দিয়েছি। অনুগ্রহ করে কেউ আমাকে ফোন করবেন না। অভদ্রের মতো মেসেঞ্জারেও কল না দেয়ার অনুরোধ করছি। আমার মতো নাদান সেলিব্রিটিকে কারও দরকার হওয়ারও কথা নয়, এটা আমার বিশ্বাস। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিলেন ফারিয়া। এরপর মডেলিং এবং ছোট পর্দায় অভিনয় করে পরিচিতি পান এই অভিনেত্রী।
যৌতুক মামলায় জামিন পেলেন উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌ’র স্বামী
যৌতুক নিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় এবার জামিন পেলেন মডেল-উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌ (কামরুন্নাহার মৌসুমী) এর স্বামী আরিফ বিল্লাহ হক। বুধবার (২৯ মে) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত-২১ এর বিচারক তাহমিনা হক এ আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান। বাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এন এম গোলাম জিলানী।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর আরিফ বিল্লাহ হকের সঙ্গে মডেল ও উপস্থাপিকা কামরুন্নাহার মৌসুমী ওরফে মৌসুমী মৌ পারাবিরাকিভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আরিফ একজন কোচিং শিক্ষক। কৌশলে তিনি তার স্ত্রী মৌ’য়ের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা আদায় করেছে। যা যৌতুকের টাকা হিসেবে দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলাতে যৌতুকের টাকার জন্য মৌকে মারধরের অভিযোগও করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, মামলার ধার্য তারিখ বুধবার (২৯ মে) আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আপোষের শর্তে আদালতের কাছে জামিন প্রার্থনা করেন। আরিফের আইনজীবীরা আদালতকে জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার স্বাভাবিক লেনদেনকে যৌতুক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। টাকাগুলো একপ্রকার ধার হিসেবে নেয়া হয়েছিল। মোট টাকার বড় একটি অংশ পরিশোধও করা হয়েছে। অন্যদিকে, একইদিন বাদী আদালতে উপস্থিত না থেকে সময় প্রার্থনার আবেদন দেন। শুনানি নিয়ে আদালত উভয়পক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী দিন ধার্যের আদেশ দেন।
ঈদে সুনায়রা শিনঝিরি’র স্বপ্ন যাবে বাড়ি
ঈদ আসলেই টিভি পর্দা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভেসে উঠে যেই সুর। সেই ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ বিজ্ঞাপনে এবার শিশু মডেল হিসেবে কাজ করলো সুনায়রা শিনঝিরি। ২০১৬ থেকে গ্রামীণফোনের হাত ধরে এই বিজ্ঞাপনের শুরুটা করেছিলেন জনপ্রিয় নির্মাতা শাহরিয়ার পলক। প্রতিবারের মত এবারের বিজ্ঞাপনটিও নির্মাণ করেন তিনি। ঈদ মানেই এই গান, যে গানের সুর করেছিলেন হাবিব ওয়াহিদ আর কণ্ঠ দিয়েছিলেন মিঠুন চাকরা। শিশু মডেল সুনায়রা শিনঝিরি’র এটি ২৫ তম বিজ্ঞাপন। এর আগে কাজ করেছে বসুন্ধরা টিস্যু, ইভালি , ফুডপান্ডা, নিডো, ওরিয়ন , রাঁধুনী, আরডি মিল্ক , বেজ ক্যাম্প, প্রাণ , গ্রামীণ ফোনের মত জনপ্রিয় পণ্যের টিভি বিজ্ঞাপনে। টিভি বিজ্ঞাপনে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে ড্রেক্সেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড টু’র শিক্ষার্থী সুনায়রা বলে, আমি বুঝিনি শুটিং করছি। সবার সাথে মজা করতে করতে কাজ শেষ হয়ে গেলো। ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ আমার ও আমার দর্শকদের এবারের ঈদ গিফট। নির্মাতা শাহরিয়ার পলক বলেন, ‘এবারের গল্পগুলো একটু ভিন্ন। অবশ্যই প্রতিবারের মতো প্রিয়জনের অপেক্ষা ও কাছে পাওয়ার এসেন্স নিয়ে তৈরি এবারের স্বপ্ন যাবে বাড়ি। কিন্তু চেষ্টা করেছি ভিন্ন লেন্সে গল্পগুলো বলার। আমার জন্য ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ একটি লিগ্যাসি প্রডাকশন। স্বপ্ন যাবে বাড়ি’র পেছনের গল্পটা বেশ দীর্ঘ। ঈদ উপলক্ষে ঢাকায় বসবাসকারীদের গ্রামে ফেরা ও তাদের ঘরের প্রতি আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখানো হয়েছে এই বিজ্ঞাপনে।
জুয়েল-মিলির প্রেম যেন ‘রূপকথা’
এমন প্রেম এখন আর সচরাচর মেলে না। ঠিক যেন রূপকথার মতো। তেমনই এক অমর প্রেমের গল্প দেখা যাবে আসছে ঈদে সিএমভি’র ঈদ আয়োজনে ‘রূপকথা’ নামের সিনেমায়। ৭৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই নির্মাণে প্রেমিক জুয়েল ও প্রেমিকা মিলি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব ও কেয়া পায়েল। রচনা ও নির্মাণে জাকারিয়া সৌখিন। নির্মাতা জানান, নাটক বা টেলিছবি নয় তিনি আসলে একটি সিনেমা বানানোর চেষ্টা করেছেন। বিশেষ এই সিনেমাটিতে দেখানোর চেষ্টা করেছেন প্রেম, বিরহ আর পারিবারিক আবহের অনবদ্য এক প্রেম কাহিনি। যেটি দেখলে দর্শকদের মনে হবে রূপকথা’র মতোই। গল্পের শুরুটা এমন, ফুলের মতো সুন্দর মায়তলী গ্রামের একমাত্র কাঁটা জুয়েল নাসের এক যুবক। পুরো গ্রাম তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। একই গ্রামে মিলিকে আসতে হয় বাবার বদলির চাকরির সুবাদে। এরপর শুরু হয় ‘রূপকথা’র প্রেম-বিরহের বুনন। জানান জাকারিয়া সৌখিন।‘রূপকথা’য় অভিনয় করে স্বস্তি ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন তৌসিফ-পায়েল দুজনেই। বলছেন,এই ঈদে তাদের সেরা কাজ হতে যাচ্ছে এটি। কারণ এর গল্প ও নির্মাণ দুটোই অসাধারণ।
সমুদ্র সৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
ফারহান আহমেদ জোভান সম্প্রতি বেশ ঢাক-ঢোল বাজিয়ে বিয়ে করেছেন। সেই বিয়েতে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে হাজির ছিলেন সাফা কবিরও। অথচ এখন শোনা যাচ্ছে তাদের ‘অনন্ত প্রেম’র গুঞ্জন!
গুঞ্জনই। সম্প্রতি তারা দুজনে জুটি বেঁধে শেষ করেছেন ‘অনন্ত প্রেম’-এর শুটিং। আসছে ঈদে সিএমভি’র ব্যানারে বিশেষ নাটকটি লিখেছেন ও বানিয়েছেন মহিদুল মহিম। নির্মাতার বয়ানে, এই গল্পের নায়ক জিসান। কক্সবাজারে নিজের দোকানে বসে কেক তৈরি করে এবং বিক্রি করে। ছোটবেলায় জিসানের মা মারা যায়। তার মা-ও খুব ভালো কেক তৈরি করতো। তাই মায়ের স্মৃতি ধরে রাখতেই জিসান কেকের বিজনেস করার সিদ্ধান্ত নেয়। গল্পের নায়িকা স্নেহা। জিসানের কেক রেস্টুরেন্টে আসে। স্নেহার শখ ছবি তোলা। খুব সুন্দর পোষাক পরে সাজানো রেস্টুরেন্টে জিসানকে কেক বানাতে দেখে মুগ্ধ হয়ে ছবি তোলে স্নেহা। আর সুন্দরী স্নেহার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে যায় জিসান। নির্মাতা বলেন,‘বুঝতেই পারছেন,গল্পের এই পর্যায়ে জিসান-স্নেহা প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। গল্পটা মূলত শুরু হয় এখান থেকে। ক্রমশ জড়ায় পারিবারিক জটিলতায়। শেষটা জানতে দেখতে হবে ঈদ উৎসবে পুরোটা।’
পালিত হল ফিমেল ট্রাভেলারস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
গতকাল ১৮ ডিসেম্বর রাতে বেশ জমকালো ভাবে পালিত হল ফিমেল ট্রাভেলারস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। রাজধানীর গুলশানের সিটিস্কেপ সেন্টারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা।
উপস্থিত ছিলেন ফিমেল ট্রাভেলারস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান নুসরাত জাহান প্রীতম, আমেরিকান ইয়োগা শিক্ষিকা বেটসি কিমেল, ডেপুটি গভর্নর নাজনিন আরা নাজু, শেয়ার অন এর মালিক আয়েশা খানম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এফটিএনবি এর শুরু থেকে সাথে থাকা ভ্রমণকারী আপুরা। জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে শুরু করা হয় অনুষ্ঠান। মাঝে ছিল গানের পর্ব, ছিল ফান গেইমস। সবশেষে নৈশভোজ দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।