মডেল ও মডেলিং

নারী দিবসে তিনটি পুরস্কারে পুরস্কৃত মাহজাবিন বুটিক্সের মাহমুদা রহমান

এই বছর মাহমুদা রহমান নারী দিবসে ৩টি পুরষ্কার অর্জন করেছেন। ১.সেরা ফ্যাশন ব্র্যান্ডস মেহজাবিন’স বুটিক পুরষ্কার-২০২৫ ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা কজমোপলিটন এবং সেরা সম্পাদক। ২০২৫ সালের সেরা ট্রেজার এবং সেরা ক্লাব প্রজেক্টর শুচি শোইলি। জোন্টা ক্লাব অব ঢাকা -১ দিয়েছেন পুরস্কার। ৩. আকিজ এয়ার ৫ম তম বাংলাদেশ নারী অনুপ্রেরণা পুরস্কার-২০২৫ প্রদান করছে নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে অসাধারণ পারফরম্যান্স জন্য পুরস্কৃত হয়েছে মাহজাবিন’স বুটিক। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বুটিক শপ, মাহজাবিন'স বুটিক, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে। প্রাথমিকভাবে ব্লক স্ক্রিন প্রিন্টিংয়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, বুটিকটি এখন একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন হাউসে রূপান্তরিত হয়েছে। এর দুটি শাখা ছিল, একটি বনানীতে এবং অন্যটি যমুনা ফিউচার পার্কে এবং বর্তমানে গুলশানে একটি শাখা রয়েছে। মাহজাবিন'স বুটিক ফ্যাশন প্রেমীদের জন্য বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং থাইল্যান্ডের পোশাকের একটি অনন্য সংগ্রহ অফার করে। এর সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে থ্রি-পিস পোশাক, গাউন, শাড়ি, বিয়ের গাউন, লেহেঙ্গা, পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি, কুর্তা, শিশুর পোশাক এবং গয়না। বুটিকের ট্যাগলাইন হল "সর্বদা নতুন সংগ্রহ"। বছরের পর বছর ধরে, মাহজাবিন'স বুটিক বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সুপারমডেল এবং অভিনেত্রীদের সাথে সহযোগিতা করেছে, যেমন বিদ্যা সিনহা সাহা মিম, অপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী ববি, বিন্দু, জাকিয়া বারী মোমো, শখ, এমি, রুমা সুজানা, তানজিন ত্রিশা এবং হেরা এবং আরও অনেক ভারত-বাংলাদেশ মডেল। শিল্পা শেঠি এবং পরিণীতি চোপড়া যখন প্রথম একটি ফ্যাশন শোতে বাংলাদেশে এসেছিলেন, তখন মাহজাবিন'স বুটিক এই অনুষ্ঠানের স্পনসর পার্টনার ছিল। বুটিকটি ঢাকা ক্লাব, হোটেল দ্য ওয়েস্টিন, হোটেল র‍্যাডিসন ব্লু (ঢাকা ও চট্টগ্রাম), এবং উত্তরা ক্লাব ইত্যাদিতে বড় বড় ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণ করেছে, পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের ফ্যাশন এক্সপোতেও অংশগ্রহণ করেছে।

মাহজাবিন'স বুটিকের চেয়ারম্যান মাহমুদা রহমান বলেন যে তাদের এক্সক্লুসিভ পোশাক নির্বাচন এবং ব্যক্তিগতকৃত স্টাইল পরিষেবা,যার মধ্যে রয়েছে স্টাইল মূল্যায়ন, গ্রাহকদের সুসজ্জিত পোশাক নিশ্চিত করে। বুটিক পরিচালনার পাশাপাশি, দুটি ক্লাবের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত, একজন সমাজকর্মী হিসেবে জোন্টা ক্লাব অফ ঢাকা ১ এবং ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা কসমোপলিটন, যেখানে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বুটিক কাজ, হস্তশিল্প এবং অন্যান্য দক্ষতা বিনামূল্যে শেখানোর মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন করেন। সমাপ্তির পর, মহিলারা সার্টিফিকেট পান এবং তার অবদানের জন্য তিনি স্বীকৃতি পান। তিনি বারিধারা সাজ ইঞ্জিনিয়ারিং ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য এবং উত্তরা মহিলা ক্লাবের আজীবন সদস্য।

মাহজাবিন'স বুটিক মহিলাদের জন্য রেডি-টু-ওয়্যার ডিজাইনার পিস এবং সমসাময়িক পোশাক এবং আনুষাঙ্গিকগুলিতে বিশেষজ্ঞ। কেবল একটি বুটিকের চেয়েও বেশি, এটি সৃজনশীলতা, ক্ষমতায়ন এবং উদ্ভাবনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম। মান এবং স্টাইলের প্রতি অঙ্গীকার সহ। মাহজাবিন'স বুটিক সকলের জন্য এবং নারী উদ্যোক্তার প্রতীক হিসেবে এগিয়ে যেতে থাকবে।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ উইমেন ফ্যাশন ডিজাইনার সোসাইটির ‘দ্য শো ষ্টোপার’

বাংলাদেশ উইমেন ফ্যাশন ডিজাইনার সোসাইটির যাত্রা শুরু হয় ‘স্বপ্নের সৌন্দর্যে আমি বিশ্বাসী,আমি নারী এ আদর্শে সফল উদ্যোক্তা গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ফ্যাশন ডিজাইনার ও দেশের বিভিন্ন সেক্টরে নারী উদ্যোক্তাদের একটি অবস্থান তৈরি করা। এ লক্ষ্যেই বি ডাবলিউ এফডি এস সংগঠন এর একটি ভিন্নমাত্রায় নতুন আয়োজন নিয়ে হাজির হচ্ছে ‘দ্যা শো ষ্টোপার’। এই যাত্রায় সংযোজিত হচ্ছে ব্যতিক্রম ধর্মী একটি ইভেন্ট ‘ওয়েডিং ফেস্ট ২০২৪’। আয়োজনকে ঘিরে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে সংশ্লিষ্টরা। ১৫ জুলাই রাজধানীর গুলশানের ‘লা ভিটা রেস্টুরেন্টে’এই উদ্যোগ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন BWFDS এর সভাপতি আইরিন হক, ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার সৈয়দ রুমা,অভিনেত্রী অহনা রহমান,ফ্যাশন ডিজাইনার সৌমিন আফরিন, ফ্যাশন ডিজাইনার মারুফা রহমান, ফ্যাশন ডিজাইনার ফারজানা হক এবং নারী উদ্যোক্তা শামসুন্নাহার মিনা,জিনিয়া জামান পিংকি,লিজা মিতু,মাহি হোসেন রুপা। বাংলাদেশের বিয়ে নিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন’ওয়েডিং ফেস্ট ২০২৪ হতে যাচ্ছে আগামী ১লা ও ২রা নভেম্বর। রাজধানীর তেজগাঁও অবস্থিত ‘আলোকি’ কনভেনশন হলে।

ঈদে সুনায়রা শিনঝিরি’র স্বপ্ন যাবে বাড়ি

ঈদ আসলেই টিভি পর্দা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভেসে উঠে যেই সুর। সেই ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ বিজ্ঞাপনে এবার শিশু মডেল হিসেবে কাজ করলো সুনায়রা শিনঝিরি। ২০১৬ থেকে গ্রামীণফোনের হাত ধরে এই বিজ্ঞাপনের শুরুটা করেছিলেন জনপ্রিয় নির্মাতা শাহরিয়ার পলক। প্রতিবারের মত এবারের বিজ্ঞাপনটিও নির্মাণ করেন তিনি। ঈদ মানেই এই গান, যে গানের সুর করেছিলেন হাবিব ওয়াহিদ আর কণ্ঠ দিয়েছিলেন মিঠুন চাকরা। শিশু মডেল সুনায়রা শিনঝিরি’র এটি ২৫ তম বিজ্ঞাপন। এর আগে কাজ করেছে বসুন্ধরা টিস্যু, ইভালি , ফুডপান্ডা, নিডো, ওরিয়ন , রাঁধুনী, আরডি মিল্ক , বেজ ক্যাম্প, প্রাণ , গ্রামীণ ফোনের মত জনপ্রিয় পণ্যের টিভি বিজ্ঞাপনে। টিভি বিজ্ঞাপনে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে ড্রেক্সেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড টু’র শিক্ষার্থী সুনায়রা বলে, আমি বুঝিনি শুটিং করছি। সবার সাথে মজা করতে করতে কাজ শেষ হয়ে গেলো। ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ আমার ও আমার দর্শকদের এবারের ঈদ গিফট। নির্মাতা শাহরিয়ার পলক বলেন, ‘এবারের গল্পগুলো একটু ভিন্ন। অবশ্যই প্রতিবারের মতো প্রিয়জনের অপেক্ষা ও কাছে পাওয়ার এসেন্স নিয়ে তৈরি এবারের স্বপ্ন যাবে বাড়ি। কিন্তু চেষ্টা করেছি ভিন্ন লেন্সে গল্পগুলো বলার। আমার জন্য ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ একটি লিগ্যাসি প্রডাকশন। স্বপ্ন যাবে বাড়ি’র পেছনের গল্পটা বেশ দীর্ঘ। ঈদ উপলক্ষে ঢাকায় বসবাসকারীদের গ্রামে ফেরা ও তাদের ঘরের প্রতি আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখানো হয়েছে এই বিজ্ঞাপনে।